অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরে গিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দেশটিকে চাপ দিচ্ছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ব্লিঙ্কেন চলমান ইসরায়েলের সঙ্গে এই আলোচনাকে গাজায় বন্দীদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য ‘শেষ সুযোগ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে তেল আবিবে গিয়ে সোমবার (১৯ আগষ্ট) এক বক্তব্যে ব্লিঙ্কেন জানান, তিনি গাজা যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অন্যান্য আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনেও কাজ করছেন। বলেন, এটি একটি সিদ্ধান্তমূলক মুহূর্ত- সম্ভবত জিম্মিদের ঘরে ফেরার, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর এবং শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য সবাইকে আরও ভালো পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, সম্ভবত শেষ সুযোগ।
গত সপ্তাহে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। ১০ মাস আগে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে নবমতম সফরে ব্লিনকেন বলেন, আমি এখানে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশের উপর একটি নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে- চুক্তিটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে এসেছি…। এখন সবার সময় এসেছে হ্যাঁ অথবা না বলার! এই প্রক্রিয়াকে (চুক্তির প্রক্রিয়া) লাইনচ্যুত করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ যেন কেউ না নেয়, সেটাও নিশ্চিত করার সময় এসেছে।
এদিকে, গত মাসে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং বৈরুতে লেবাননের গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার পর ইসরাইলের যুদ্ধ সর্বাত্মক আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেবে বলে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বহুগুণ বেড়ে যায়। এ নিয়ে ব্লিনকেন বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে কাজ করছি যে, উত্তেজনা যেন না বাড়ে। কোনো উসকানি না হয়। এমন কোনো পদক্ষেপ কেউ যেন না নেয়, যা কোনোভাবেই আমাদের এই চুক্তিকে বাধাগ্রাস্ত করতে পারে অথবা সংঘাতকে অন্য জায়গায় ও আরও তীব্রতার দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য