অনলাইন ডেস্ক :
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বলেছেন, গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি নির্বিচার বোমা হামলার শিকার গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ১৯৪৫ সালের বার্লিন পরিস্থিতির চেয়েও ভয়াবহ। তিনি জার্মানির রাজধানী বার্লিনের পতনের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের প্রতি ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন। চিলির প্রেসিডেন্ট বলেন, “গাজার প্রায় সব ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ অধিবাসীর রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে আসছে মানবতার শত্রু ইসরাইল। দখলদার সেনাদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
চিলির প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “গাজায় ইসরাইলি হামলায় গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। এই গণহত্যা এখনই বন্ধ করতে হবে।” এর আগে গত অক্টোবরের গোড়ার দিকে গাজায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর নভেম্বর মাসে তেল আবিব থেকে নিজের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছিল চিলি। সে সময় বলা হয়েছিল, পরামর্শ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে সান্টিয়েগোতে তলব করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূখ- জবরদখল করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন। বর্তমানে চিলিতে প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। আরব দেশগুলোর বাইরে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দানকারী বৃহত্তম দেশ চিলি। ২০১১ সালে ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পার্সটুডে
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮