যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি একটি বিশদ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনাটির আওতায় আবাসন, শিক্ষা, শাসনব্যবস্থা, অবকাঠামোসহ মোট ১৮টি খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পূর্ণ বাস্তবায়নে আনুমানিক ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছে।
রামাল্লায় এক বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে পরিকল্পনার খসড়া উপস্থাপন করেন পশ্চিম তীরের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এখন থেকে ১২ মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজায় পূর্ণমাত্রায় প্রশাসনিকভাবে কার্যকর হবে।’
২০২৫ সালের মার্চে কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত চুক্তির ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা। পরিকল্পনার অন্যতম মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধ-পরবর্তী একীভূত ফিলিস্তিনি সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা, শুল্ক ব্যবস্থা ও সমন্বিত পুলিশ ইউনিট গঠনের বিষয়ে প্রযুক্তিগত আলোচনা চলছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান আর্থিক সহযোগী হিসেবে ইইউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মুস্তাফা বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া গাজা ও পশ্চিম তীরের মধ্যে রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এবং একটি কার্যকর প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তা করবে, যা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করবে।’
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা গাজায় যুদ্ধবিরতির পর টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়া শুধু ফিলিস্তিন নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্যই কল্যাণকর।’
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো: প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপির না থাকাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বললেন মির্জা ফখরুল
কিছু রাজনৈতিক দল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে: নাহিদ