November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 20th, 2024, 8:36 pm

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সেনা নিহত বেড়ে ৮০০

অনলাইন ডেস্ক:

সম্প্রতি গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরাইলের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এর ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

বুধবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজায় উত্তরে জাবালিয়ায় নিহত ওই ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা কফির ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে আরেক ইসরাইলি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তিনি রেজিমেন্ট ৯০-এর কমান্ডার এবং একজন কর্নেল ছিলেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিওর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ৮০০ সেনা ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে একই সময়ে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান ও আগ্রাসনে প্রায় ৪৪,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১,০৪,০৯২ জন।

এই গণহত্যা গাজার জনসংখ্যার ওপর এক গভীর মানবিক সংকট তৈরি করেছে।

গাজায় দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরেও ইসরাইল এখনও তার দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। তা হলো- ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস করা এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করা।

অধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রধান শিকার হচ্ছে বেসামরিক জনগণ, বিশেষত নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বারবার মানবিক সহায়তা এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটেনি।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং প্রধান শক্তিগুলোর সমর্থনে এই সহিংসতা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলি হামলার এই ধারা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের শামিল।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর রাজনৈতিক সমর্থন ইসরাইলকে আরও আগ্রাসী করে তুলছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।