গাজীপুরের পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জুমাআর নামাজের পর আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের ফসিহ উদ্দিন (ফসি পাগলার) মাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় মাজারের সীমানা প্রাচীর, পাকাভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় কিছু লোক। বিভিন্ন অবকাঠামো গুড়িয়ে দিয়ে পরে মাজারে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও বিছানাপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ফসিহ উদ্দিন হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার একজন শিক্ষক বলেন, জুমআর নামাজের পর পর কয়েকশ’ লোক ভাড়া করা একটি বুলডোজার, লাঠি-সোটা, শাবল-রড নিয়ে মাজারে হামলা চালায়। তারা মাজারের পাকা সীমানা প্রাচীর, খাদেমের ঘর, মোমবাতি-আগরবাতি রাখার ঘর ও মাজারের পাকা মূলভবন গুড়িয়ে দিয়েছে। পরে সেখানে তারা অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালিয়েছে।
ওই মাজারটি আশির দশকে পোড়াবাড়ি বাজারের কাছে গড়ে উঠে। মাজার চত্বরে একটি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা ছাড়াও সেখানে ফসিহ উদ্দিন দাখিল মাদরাসা ও মসজিদ রয়েছে।
মাজারটির তথা ফসিহ উদ্দিনের ভক্তদের দানের টাকায় চালানো হয় মসজিদ-মাদরাসার সব খরচ। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই মাজারে বাৎসরিক ওরশের সময়ে এবং বিভিন্ন সময়ে কতিপয় লোক গাঁজার আসর বসান এবং গান-বাজনা চালান। এমন সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মাজারটিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সদর জোনের) সহকারী কমিশনার মো. মাকসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার