অনলাইন ডেস্ক :
টেবিল টপার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ম্যাচ হারিয়েই দিচ্ছিলেন রুবেল হোসেন, লাগাম টেনে ধরলেন রেজাউর রহমান রাজা। আর শেষ ওভারে নার্ভের লড়াইয়ে পাস করলেন অভিজ্ঞ অলক কাপালি। তাই বিফলে গেলো সোহাগ গাজীর তা-ব, ১ রানের নাটকীয় জয় পেলো নাসির হোসেন-রেজাউর রহমান রাজাদের প্রাইম ব্যাংক। শেষ ওভার পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ রানের জন্য হারতে হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ২৭৩ রান। জবাবে ৪৯.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানে থেমেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ২৭৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা মোটেও আশা জাগানিয়া ছিল না ব্রাদার্সের। ইমতিয়াজ হোসেন ৪৩ রান করার পরেও দলীয় ৮০ রানেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম পাঁচ ব্যাটার। আরও একবার হতাশ করা মোহাম্মদ আশরাফুল করেন মাত্র ১৭ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন ধীমান ঘোষ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ইনিংসের ৪০তম ওভারে ৫১ রান করে আউট হন ধীমান। তখন তাদের জয়ের জন্য বাকি ছিল ৬৩ বলে ১০৬ রান। সেখান থেকে বিপ্লবকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাত্র ৫.১ ওভারে ৬৫ রান যোগ করেন সোহাগ গাজী। যেখানে গাজীর একার অবদান ৫৪ রান। তাও কি না মাত্র ২১ বল খেলে। রুবেলের করা এক ওভারে ২১ রানসহ মাত্র ২০ বলে ২ চার ও ৬ ছয়ের মারে ফিফটি করেছিলেন গাজী। তার বিদায়ের পর ৩২ বলে বাকি ছিল ৪১ রান। যা তাড়া করতে দলকে এগিয়ে দেন আবু হায়দার রনি। বিশেষ করে রুবেলের করা ৪৮তম ওভারে ১৮ রান এলে শেষ দুই ওভারে বাকি থাকে মাত্র ৮ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। তখনই জাদু দেখান রেজাউর রহমান রাজা। ততক্ষণে ৩ উইকেট নেওয়া রাজা ৪৯তম ওভারে ৫ রান খরচায় নেন আরও ২ উইকেট। সবমিলিয়ে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে থামেন তিনি। যা তার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আমিনুল বিপ্লব ৬২ রানের ইনিংস খেলে ফিরলেও, ১৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আবু হায়দার। শেষ ওভারে জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান, হাতে ১ উইকেট। তখন বোলিংয়ে আসেন অভিজ্ঞ অলক কাপালি। প্রথম বলেই ১ রান নেন রনি। সেটিই কাল হয় ব্রাদার্সের জন্য। পরের দুই বল ডট খেলেন শেষ ব্যাটার সুজন হাওলাদার। চতুর্থ বলে তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দলকে নাটকীয় এক জয় এনে দেন কাপালি। ছয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের এটি পঞ্চম জয়। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন রাজা। এর আগে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ষাটোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন তিন ব্যাটার। কিন্তু কেউই সেঞ্চুরির দেখা পাননি। ডানহাতি ওপেনার শাহাদাত হোসেন দীপু ৬৪, মিডল অর্ডারের তারকা নাসির হোসেন ৬৬ ও অভিজ্ঞ শামসুর রহমান শুভর ইনিংস থামে ৬০ রানে। ব্রাদার্সের পক্ষে ৪ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।
আরও পড়ুন
খুলনা হারলেই কেটে যাবে সমীকরণের সব জটিলতা
রংপুরের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ে চিটাগং
উইন্ডিজের কাছে বড় হার বাংলাদেশের মেয়েদের