পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা ন্যূনতম মাসিক বেতন ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং মালিক প্রতিনিধিরা তাদের ন্যূনতম বেতন ২৪০০ টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
রবিবার রাজধানীর পল্টনে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার কাছে জাতীয় পোশাক শ্রমিক কর্মচারি লীগের (জেজিএসকেএল) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ও পোশাক মালিকদের প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমান নিজ নিজ পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেশ করেন।
উভয় পক্ষের প্রস্তাব পাওয়ার পর লিয়াকত আলী বলেন, শ্রমিক পক্ষ ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং মালিক পক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা চাচ্ছে। উভয় পক্ষের প্রস্তাবে বেশ ব্যবধান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভা ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ব্যবধান কমানোর প্রস্তাব করা হবে।’
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রস্তাবে সব সময়ই পার্থক্য থাকে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তাব করেছি।’
প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তারপর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। সব বিষয় বিবেচনা করে মজুরি বাড়াতে হবে।
তবে, যেহেতু চেয়ারম্যান শ্রমিক ও মালিকদের মজুরি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পরবর্তী বৈঠকে তাদের জানাব।
এছাড়া বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) শ্রমিকদের জীবনমান মূল্যায়ন করে ন্যূনতম বেতন ১৭ হাজার ৫৬৫ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
—-ইউএনবি

আরও পড়ুন
রাষ্ট্র আবেগে নয়, আইনকানুনে চলে: সালাহউদ্দিন
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ডিসেম্বরে ঢাকায় আসছেন
একক প্রার্থীর বিপরীতে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে: আসিফ নজরুল