রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সম্প্রতি গুলশানের পাঁচটি ভবনে রাজউক এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
এ সময় গুলশানের ১১৩ নম্বর রোডের পাঁচতলা ভবনের চারটি ফ্লোর সিলগালা করে দেওয়া হয়। এসব ফ্লোরে অনুমোদন ছাড়াই চলছিল বাণিজ্যিক কার্যক্রম। পাশের ভবনেই দুই প্রতিষ্ঠানকে সরে যেতে দেওয়া হয় এক মাসের সময়।
অভিযান চলে ইজুমি জাপানিজ রেস্তোরাঁতেও। রাজউকের নোটিশে এক মাস ধরে বন্ধ থাকার কথা বললেও, ভেতরে চলছিল খাবার তৈরির কার্যক্রম। পরে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

রেস্তোরাঁটির একজন কর্মকর্তা জানান, “ইজুমি’র তিনটি ফ্লোরই সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এটা করা হয়েছে আবাসিক ভবনে আমরা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছি এই জন্য। বাড়ির যিনি মালিক আছেন, তাদের সাথে কথা বলে দেখি কী সিদ্বান্ত নেওয়া যায়। নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই রেস্তোরাঁটির কার্যক্রম বন্ধ আছে।”
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘গুলশানের বেশ কিছু আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভবন মালিক যারা রয়েছেন, তাদেরকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক ভবনে রূপান্তর করে তারপর তারা যেন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে আবাসিক অনুমোদন রয়েছে সেগুলোও রাজউক চাইলে বাতিল করতে পারে। দেশের প্রচলিত আইনে এসব ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিন আরও দুটি হোটেল ভবনও সিলগালা করে দেয় রাজউক।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
তফসিলের পর রাস্তায় আন্দোলন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রেসসচিব
তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ