সরকারকে গোপালগঞ্জসহ সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষা
করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে
—অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, দেশ এক গভীর রাজনৈতিক সংকট অতিক্রম করছে। জনগণ স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার জন্য সংগ্রামরত।
এমন সময় একটি ভারতপন্থী গোষ্ঠী পলাতক নেত্রীর ইন্ধনে দেশে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা বহরে হামলা তারই অংশ। তিনি বলেন, যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, তারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও দেশের সার্বভৌমত্বের শত্রু। অতীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও তাদের মদদপুষ্ট দোষীদের পরিচয় সকলের জানা।
এ সব হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা তাদের আশু সুস্থতা কামনা করি। পাশাপাশি, এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে-দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটছে। সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালাম, ছাত্রশিবির নেতা ই¯্রাফিল হোসেন, শ্রমিক নেতা আলী হায়দার নিরু, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুর রশীদ, হাবিবুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, এনসিপির নেতারা স্বাভাবিক নিয়মে প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আলাপ আলোচনা করে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়েছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি বলেই এতো বড় ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জেলা নয়। এটি বাংলাদেশেরই অংশ। সরকারকে গোপালগঞ্জসহ বাংলাদেশের সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে। কিন্তু দেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে। তারা দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।’#
মাসুম বিল্লাহ ইমরান
খুলনা
আরও পড়ুন
গোপালগঞ্জের ঘটনায় খুলনা উত্তপ্ত
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে ‘ব্লকেড’
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের ৫৫ জনকে পুশইন