গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সভাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ চলছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে তাদের আটকের পর গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া কারফিউর কারণে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার পরও শহরে মানুষের কর্মচাঞ্চল্য দেখা যায়নি। অনেকটাই থমথমে পরিস্থিতি দেখা গেছে গোপালগঞ্জজুড়ে। মূল সড়কগুলোকে সকাল থেকে চোখে পড়েনি অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন, বন্ধ ছিল দোকানপাট-বাজার। তবে বিভিন্ন অলিগলির সড়কের মানুষের চলাচল দেখা গেছে। কিছু এলাকায় খুলেছে খাবারের দোকান-হোটেল। জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘর ছেড়ে বেরিয়েছেন তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে আতঙ্কের ছাপ।

এদিকে গোপালগঞ্জে গত বুধবার (২৬ জুলাই) সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিটির নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নসীমুল ঘানি। তাকে সহায়তা করবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দুইজন অতিরিক্ত সচিব।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটিকে ঘটনাটি গভীরভাবে অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যেকোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড, সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য দায়ীদের আইন অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার কথা পুনরায় দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করা হয়, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ল
চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেসি: সালাহউদ্দিন আহমদ
গোপালগঞ্জ ট্রমা এনসিপি’র তরুণ নেতাদের তাড়া করবে: মোস্তফা ফিরোজ