জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গোপালগঞ্জ এখন রণক্ষেত্র। উত্তেজনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি ছাড়াও বর্তমানে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। শহরজুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এদিন দুপুর ২টার পর পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির সভা শুরু হয়। সভা শুরুর আগে বেলা দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে এক দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর সমাবেশ শেষে ফের এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। ভাঙচুর করা হয় নতুন এ দলটির গাড়িবহর।
এদিকে এনসিপির সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
পোস্টে লেখা হয়েছে, গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আরও লিখেছে, সারাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
অন্যদিকে এই হামলার ঘটনার পর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তারা যদি গোপালগঞ্জ থেকে বেঁচে ফেরেন, তবে মুজিববাদের কবর রচনা করে ছাড়বেন।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
গোপালগঞ্জে হামলা, প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা: সৈয়দা রেজওয়ানা
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত চার জন নিহত
গোপালগঞ্জে রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি