জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ভয়াবহ সহিংসতায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দেশের একটি গণমাধ্যম সূত্র বলছে, কর্মসূচি বানচাল করতে ভারতে পলাতক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে কর্মীদের হামলার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও উঠে এসেছে, যিনি ভারত থেকে ফোনে একাধিক নেতাকে গোপন বার্তা দেন বলে দাবি করেছে সংবাদপত্রটি।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জে ঢুকলেও এনসিপি নেতাদের ‘জীবিত বের হতে দেওয়া হবে না’—এই ছিল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের মূল বার্তা। একটি অডিও বার্তায় শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘টুঙ্গিপাড়ায় হামলা ঠেকাতে যা করার করো, একজনও যেন অক্ষত না ফেরে।’
এসব কথোপকথন বিশেষভাবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা আতাউর রহমান পিয়াল ও নিউটন মোল্লার সঙ্গে হয় বলে জানা গেছে।
সূত্রগুলো দাবি করছে, শেখ হাসিনার ফোনালাপের পরদিনই সংঘর্ষের দিন সকালেই এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়।

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। পরবর্তীতে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
শুধু তাই নয়, কলকাতা, লন্ডন, নিউইয়র্ক ও ঢাকায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাদের সমন্বয়ে গোপালগঞ্জে চলে হামলার ‘পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা’।
কলকাতায় আত্মগোপনে থাকা শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম, লন্ডনে থাকা আব্দুর রহমান, শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও অন্যান্য প্রভাবশালী নেতারা এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে।
নারী নেত্রীদেরও ব্যবহার করা হয় এই সহিংসতায়। স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আলমকে মাঠে সংগঠিত করতে দেখা যায়।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
এ মাসে ‘জুলাই সনদ’ না হলে দায় সরকারের
প্রধান উপদেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করলেন স্পেসএক্স ভাইস প্রেসিডেন্ট
সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের যেসব নির্দেশনা দিল জামায়াত