অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ভাগেও বল হাতে জ¦লে উঠলেন নাবিল সামাদ। তার সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়ালেন নাঈম আহমেদ। দুই স্পিনারের চমৎকার বোলিংয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে অনায়াসে জিতল সিলেট বিভাগ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার তামিম ইকবালদের ৯ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের লিড নেওয়া সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামকে গুটিয়ে দেয় ২২১ রানে। পরে ৫১ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৪৭ বলেই। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া নাবিল দ্বিতীয়ভাগে নেন ৪টি। বাঁহাতি এই স্পিনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান নাঈম। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে ৫ উইকেট নেওয়া এই অফ স্পিনারের ম্যাচে শিকার আটটি। ৪ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করা চট্টগ্রামের ইনিংস শেষ হয়ে যায় প্রথম সেশনেই। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন নাঈম। অনেকটা সময় উইকেটে কাটানো পারভেজ হোসেনও এই স্পিনারের শিকার। ১২৭ বল খেলে ১৬ রান করে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর একে একে ইফতেখার সাজ্জাদ, মেহেদি হাসান রানা ও ইয়াসিন আরাফাতকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাঈম। শেষ উইকেটটি নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস গুটিয়ে দেন নাবিল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বিদায় নেন ইমতিয়াজ হোসেন। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার তৌফিক খান। হাসান মুরাদকে দুটি চারের সঙ্গে মারেন এক ছক্কা। পরে পিনাক ঘোষকে হাঁকান তিন চার। তার ১ ছক্কা ও ৬ চারে ২৬ বলে ৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে দ্রুত জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। অমিত হাসান ৩ চারে করেন ১৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ১৪১
সিলেট ১ম ইনিংস: ৩১২
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ১১৯.৩ ওভারে ২২১ (আগের দিন ১৬৯/৪) (পারভেজ ১৬, ইরফান শুক্কুর ২৩, সাজ্জাদ ১৭, মেহেদি রানা ২, মুরাদ ১৭*, ইয়াসিন ৭, শরিফ ৩; আবু জায়েদ ১০-১-৪১-০, তানজিম ১৫-৩-৪৩-০, নাঈম ৩৫-১১-৪২-৫, নাবিল ৩৫.৩-১০-৫৮-৪, শাহানুর ২৪-১১-২৭-১)
সিলেট ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১) ৭.৫ ওভারে ৫২/১ (ইমতিয়াজ ১, তৌফিক ৩৫*, অমিত ১৫*; সাজ্জাদ ৩-০-৮-১, মুরাদ ২-০-১৬-০, পারভেজ ১.৫-০-১৫-০, পিনাক ১-০-১৩-০)
ফল: সিলেট বিভাগ ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাবিল সামাদ
বরিশাল-রাজশাহী ম্যাচ ড্র
প্রথম দুই দিনে দুই দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচের অনুমিত ফল ছিল ড্র। সেটাই হয়েছে। রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনও ঠিক সময়ে খেলা শুরু হতে পারেনি মাঠ ভেজা থাকায়। খেলা শুরু হয়ে দুপুর একটায়। ৬ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে খেলতে নামা রাজশাহীর প্রথম ইনিংস ২৩১ রানে থামিয়ে দেয় বরিশাল। প্রথম ইনিংসে ৫০ রানের লিড পাওয়া দলটি ৫ উইকেট হারিয়ে করে ৭১ রান। পরে ম্যাচ ড্র মেনে নেয় দুই দল। রাজশাহীর হয়ে ৬ চারে ৫৫ রান করেন সানজামুল ইসলাম। বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে তিনিই হন ম্যাচের সেরা। বরিশালকে লিড এনে দেওয়ার পথে বড় অবদান রাখেন কামরুল হাসান রাব্বি ও তানভির ইসলাম। কামরুল ৭২ রানে ধরেন ৪ শিকার, তানভিরের প্রাপ্তি ৫১ রানে তিনটি। দুই উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল ৭০ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সালমান হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২৮১
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৭২. ওভারে ২৩১ (আগের দিন ১৮৬/৬) (প্রতিম ৬১*, সানজামুল ৫৫, শফিকুল ৭, পায়েল ০, নাহিদ ৩*; রুয়েল ১৭-৩-৫৮-২, কামরুল ১৮-২-৭২-৪, শাহিন ৯-০-২১-০, তানভির ২৪.২-৫-৫১-৩, সোহাগ ৪-০-২৮-১)
বরিশাল ২য় ইনিংস: ২৪ ওভারে ৭১/৫ (রাফসান ১৫, আশরাফুল ৪, ফজলে মাহমুদ ০, সালমান ৩২, নুরুজাম্মান ৪, সোহাগ ০, সায়েম ১৩*, কামরুল ১*; নাহিদ ৭-১-১২-২, শফিকুল ৫-০-২৬-০, সানজামুল ১০-২-২৯-২, পায়েল ২-১-৪-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: সানজামুল ইসলাম
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লেখা নিয়ে আপত্তি ভারতের, খেপেছে পিসিবি
মালানের সঙ্গে কী হয়েছিল মাঠে, নিজেই জানালেন তামিম
বিপিএলের মাঝপথে খুলনা টাইগার্সে আরো ২ বিদেশি ক্রিকেটার