কক্সবাজারে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে পুলিশ কর্তৃক গণহারে বাস রিকুইজিশন করার প্রতিবাদে উত্তর চট্টগ্রাম ও দুই পার্বত্য জেলায় পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে বাস মালিকরা। এতে কয়েক হাজার মানুষ দুভোর্গে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিন জেলায় (রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও উত্তর চট্টগ্রাম) বাস চলাচল বন্ধ রেখে এই ধর্মঘট পালন করছে।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পুলিশের প্রয়োজনে, দেশের স্বার্থে পুলিশ সবসময়ই গাড়ি রিকুইজিশন করতে পারে; আমরাও পুলিশকে গাড়ি দিয়ে সহযোগিতা করি। কিন্তু পুলিশ সমাবেশের নামে আমাদের হাটহাজারী থেকে ২৪টি সহ চট্টগ্রাম থেকে ৯৭ টি বাস রিকুইজিশন করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ১৩টি বাস পুলিশ ব্যবহার করলেও বাকি বাসগুলো চট্টগ্রাম থেকে খালি নিয়ে উখিয়া-টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের প্রধানমন্ত্রীর জনসভার লোকজন আনা-নেয়া করেছে।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রিকুইজিশন করা বাসগুলোর চালক ও সহকারীদের খাবার ও ডিজেল খরচ দেয়ার কথা থাকলেও তা পর্যাপ্ত দেয়নি। ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ নানাভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আটদিন আগে পুলিশ চট্টগ্রামের কথা বলে খাগড়াছড়ি থেকে পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করলেও পরে তা কক্সবাজার-টেকনাফ নিয়ে গেছে। পুলিশের এইসব হয়রানির প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও উত্তর চট্টগ্রামের প্রতীকী পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছি। ওইদিন আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ বলেন,গাড়ি রিকুইজিশন করা কিছু মালিকের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তারা তেলের টাকা পাবে। তা আজকে সন্ধ্যার মধ্যে বুঝিয়ে দেয়া হবে। কোন পরিবহন ধর্মঘট হচ্ছে না। দু’একজন মালিক এটা ডেকেছে। মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকেনি। আপনারা মালিক সমিতির নেতা মঞ্জুর আলমের সঙ্গে কথা বলুন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
রংপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগর ও জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
র্যাব রংপুরে ৩৫১.৩৮ গ্রাম হেরোইন সহ স্বামী-স্ত্রী আটক করেছে
দুর্নীতির ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন: রংপুরে রিজভী