জলাবদ্ধতার কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না চট্টগ্রামবাসী। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে সৃষ্টি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়ছেন কর্মজীবীসহ সাধারণ মানুষ।
রবিবার (১৯ আগস্ট) রাতের বৃষ্টিতেও ডুবে গেছে শহরের নিম্নাঞ্চল। কোনো কোনো এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত উঠেছে পানি।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ইতোমধ্যে ব্যয় করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তবুও মিলছে না সুফল।
সোমবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর মোহাম্মদপুর, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, মুরাদপুর, শোলকবহর, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে।
৯টার পর থেকে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের এ ধারা আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে।’
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহনুর সুলতানা বলেন, ‘আমার বাসা বহদ্দারহাট। বহদ্দারহাট থেকে একে খান হয়ে যেতে হয় অফিসে। বৃষ্টি হলেই বাসার আশপাশ এলাকার সড়ক ডুবে যায়। আজকেও একই অবস্থা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে অফিসে আসতে হয়েছে।’
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে কখন রেহাই পাবো আল্লাহ ভালো জানেন। শুনেছি হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। প্রত্যেক বছর বলা হয়, আগামী বছর পানি উঠবে না। কিন্তু যে লাউ, সে কদু।’
রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা সিদ্দিকী বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে হাঁটু পানিতে। আমরা এই অবস্থার উন্নতি চাই।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুটি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি প্রকল্পের আওতায় ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার কাজ চলছে।
এই কাজ চলছে প্রায় ৫ বছর ধরে। তবুও মিলছে না সুফল।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
রংপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগর ও জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
র্যাব রংপুরে ৩৫১.৩৮ গ্রাম হেরোইন সহ স্বামী-স্ত্রী আটক করেছে
দুর্নীতির ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন: রংপুরে রিজভী