চট্টগ্রামের অনোয়ারায় পুলিশ হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাপসহ এক যুবলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়েছে আ্ওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারের ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় ২ পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্যও আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি।
এর আগে শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে মামলা হলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা খান গ্রুপের মোজাম্মেল হক নামের এক সমর্থককে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। দলীয় গাছ মোজাম্মেলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় কয়েকশ’ নেতা-কর্মী।
পরে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মী ১২ জন গুলিবিদ্ধ ও কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্যও আহত হয়।
শনিবার (৮ জুন) রাত ১১টায় এ ঘটনায় পুরো চৌমুহনী বাজার এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শুক্রবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ নিরীহ নেতা-কর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আমি নেতা-কর্মীদের আটকের প্রতিবাদ জানালে পুলিশ আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভ করে। এ সময় নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালান। এতে ১২ জনের বেশি নেতা-কর্মী গুরুত্বর আহত হয়।’
এ বিষয়ে আনোয়ারা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করলে স্থানীয়রা এসে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে কর্ণফুলী থানার ওসি ও আনোয়ারা থানার ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।’
——ইউএনবি
আরও পড়ুন
রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রাজ্জাক, দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির
‘অ্যাগ্রি ব্লকেড’ কর্মসূচিতে খামারবাড়ির সব ফটকে তালা