ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া ১৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ মেলেনি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৫টা পর্যন্ত নথির কোনো খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছেন মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।
ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা না থাকায় আশপাশের ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে।
নথি হারানোর ঘটনায় রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ১৯১১ মামলার নথির হদিস মেলেনি। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তবে ঘটনাস্থলে সিসি টিভির ক্যামেরা না থাকায় ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি।’
জিডিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, মহানগর পিপি অফিসে প্রায় ২৮-৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিলো। পিপি অফিসের জায়গাস্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পিপি অফিসের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১৯১১ কেইস ডকেট ( সিডি) পলিথিনে মোড়ানো স্তূপ আকারে রক্ষিত ছিল। ১২ ডিসেম্বর মহানগর কোর্টের সবশেষ ভেকেশন কোর্ট ছিল।
তারপর থেকে মহানগর আদালত ও পিপি অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজখুঁজি করে না পেয়ে জিডি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আদালত বা আমাদের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে কথা হচ্ছে, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেছে।
এ ঘটনায় যারা জড়িত তা পুলিশের তদন্তে উঠে আসবে। পাশাপাশি এই নথিগুলো উদ্ধার হবে বলে আশা করি।
আরও পড়ুন
শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ জামায়াতে ইসলামী
রংপুরে সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শীতের রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন