চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় আটজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—সাফায়েত হোসেন রাজু (গণিত চতুর্থ বর্ষ), হামিম রাফসান (এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ), জাহেদুল অভি (ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় বর্ষ), ওয়াহিদুল রহমান সুজন (স্নাতক তৃতীয় বর্ষ), আলিফ জাবেদ (ইতিহাস প্রথম বর্ষ), জিয়াউদ্দিন আরমান (সমাজবিজ্ঞান মাস্টার্স), নাঈম আসিফ ( ইতিহাস মাস্টার্স) ও মোহাম্মদ মনির (ইতিহাস চতুর্থ বর্ষ)।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রথমে ঝগড়া হয়। পরে তা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় উভয় পক্ষের ছোড়া ইটের টুকরা কারও মাথায়, ও হাতে-পায়ে লেগে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। এ ঘটনায় আটজনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা।
তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালান, এতে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন।
সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের বেশকিছু ছোট ভাই আহত হয়েছে,সন্ত্রাসীদের কীভাবে দমন করতে হয় সেটি আমার জানা আছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, কি কারণে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে পাঁচজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
ডামি নির্বাচন, ভোট দিল ‘মৃত’ ব্যক্তি-শিশু