চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনে কথা কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশনে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে।
আহতরা হলেন- ২০১৯-২০ সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মামুন, ২০১৮-১৯ সেশনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মানিক এবং ২০১৭-১৮ সেশনের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শাহ পরান। এর মধ্যে শাহ পরানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রুপ দুইটি হল- ভিএক্স ও সিক্সটি নাইন। গ্রুপ দুইটিই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
জানা গেছে, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা রাতের শাটল ট্রেনে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন পৌঁছার পর ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
জানতে চাইলে ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা বসে মীমাংসা করে নেব।’
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু জানান, এখানে কে কোন গ্রুপের তা দেখার সুযোগ নেই। প্রশাসন যেন অপরাধী খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বাকি দু’জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষ এখনও আছে, আমারা তাদের থামানোর চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি আছে বলেও তিনি জানান।’
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি ঢাকা বাংলাদেশ
তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩
বিমানবন্দরেই দেখা ইচ্ছে মা-ছেলের