April 22, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, April 22nd, 2025, 12:06 pm

চলচ্চিত্রে এসে মিনা পাল থেকে যেভাবে তিনি কবরী হয়ে উঠেছিলেন

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের সিনেমার ‘সারেং বউ’ খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেত্রী, পরিচালক ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গত ১৬ এপ্রিল। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২০২১ সালের এই দিনে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সে সময় টানা ১২ দিন ধরে ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে (তৎকালীন, এখন নাম পরিবর্তন হয়েছে) চিকিৎসাধীন ছিলেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত কবরী। ১৩ দিনের মাথায় তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। তাকে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

কবরীর জন্ম হয়েছিল ১৯৫০ সালের ১৫ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে। তার জন্মনাম ছিল মিনা পাল। ১৯৬৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। ওই সিনেমা থেকেই মিনা পাল নাম পাল্টে পরিচিতি পান কবরী নামে।

সুভাষ দত্তকে কবরীর খোঁজ দিয়েছিলেন সুরকার সত্য সাহা। ছবি দেখে সুভাষ দত্ত তাকে পছন্দ করেন এবং তাকে অডিশনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ডেকে পাঠান। কণ্ঠ ও সংলাপ পরীক্ষার পর সুভাষ দত্ত ‘সুতরাং’ সিনেমায় কবরীকে জরিনা চরিত্রের জন্য নির্বাচন করেন।

এরপর দত্তের পরামর্শে চলচ্চিত্রটির লেখক সৈয়দ শামসুল হক মিনা পাল নাম পাল্টে তার নতুন নাম দেন কবরী। তারপর থেকে এই নামেই তিনি পরিচিত হতে থাকেন এবং একসময় অভিনয় দিয়ে উঠে যান খ্যাতির শীর্ষে। সেই সত্তরের দশক থেকে এখন পর্যন্ত মিনা পাল বললে হাতে গোনা কয়েকজনই তাকে চিনবেন। কিন্তু কবরী নামে তিনি শুধু চলচ্চিত্রে নন, রাজনৈতিক অঙ্গণেও পরিচিত।

সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কবরী। স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সম্মাননাসহ পেয়েছেন দুটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। তার মধ্যে একটি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে, যেটি তিনি ১৯৭৮ সালে অর্জন করেছিলেন ‘সারেং বউ’ সিনেমাটির জন্য।

এছাড়া ছয়টি বাচসাস পুরস্কার আছে কবরীর ঝুলিতে। শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে পেয়েছেন বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ডস। তিনি বইও লিখেছিলেন। ২০১৭ সালের অমর একুশে বইমেলায় কবরীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশিত হয়।

রাজনৈতিক জীবনে এই অভিনেত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালে দলটির মনোনয়নে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন।