চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না নামলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। যদি দাম না কমে, তাহলে আমদানির অনুমোদন ইস্যু করে দেব।”
বশিরউদ্দীন বলেন, “আমরা বাজারে ধস নামাতে চাই না। আমরা চাই স্বাভাবিক মূল্য পরিস্থিতি বিরাজ করুক—যাতে কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত না হন, আবার ভোক্তারও কষ্ট না হয়।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ৮০০টি পেঁয়াজ আমদানির আবেদন রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ অনুমোদন দিলেই বাজারে প্রভাব পড়বে। “আমরা দেখছি, স্থলবন্দরের ওপাশে অনেক পেঁয়াজ মজুত আছে। তাই এখনই অনুমতি দিলে দাম হঠাৎ কমে যেতে পারে,” বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ‘হাই ফ্লো’ মেশিন সরবরাহ করেছে, যা সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত করেছে।
বাণিজ্য সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। চলতি মাসে আরও ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার মেট্রিক টন, আর আগামী মাসে আড়াই লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে, দেশে পেঁয়াজের কোনো বাস্তব সংকট নেই।
কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০–৫০ টাকা দাম বাড়াকে “অবশ্যই যুক্তিসংগত নয়” বলে মন্তব্য করেন বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “এমন কোনো বিশেষ ঘটনা ঘটেনি। কৃষকের কাছেও এখন তেমন পেঁয়াজ নেই, ফলে এ বাড়তি টাকার সুফল তারা পাচ্ছেন না।”
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এখনো তেমন তথ্য নেই। তবে সাংবাদিকরা যদি জানান, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।”
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় ফিলিস্তিনি গ্রামবাসী ও সাংবাদিক আহত
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ময়মনসিংহে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য