August 17, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, August 15th, 2025, 8:23 pm

চলনবিল খতির দোহাই দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অন্যত্র স্থানান্তর করা যাবে না সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ

শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

শাহজাদপুরে বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভূমিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং ডিপিপির দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থী  সংবাদ  ১৫ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার   সকাল ১০.০০ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা শাহজাদপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যখন স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল, তখন পরিবেশ আন্দোলনকর্মীর পরিচয়ে একটি লোভী, স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে চলনবিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাতে শুরু করে। গত নয় বছরে এবিষয়ে একটি কথাও তারা বলেনি। আমরা এমন মিথ্যাচারের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যারা এই কাজটি করছে, তারা কেবল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী নয়, তারা রবীন্দ্রবিরোধী, উচ্চশিক্ষাবিরোধী এবং দেশবিরোধী। তারা একদিন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো সম্পর্ক নেই। এই স্থানের সঙ্গে চলনবিলের রৈখিক দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। এর মাঝখানে আছে অসংখ্য বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদসহ নানাবিধ অবকাঠামো। বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো বিরোধ নেই।

আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে নদী ভালোবাসেন, চলনবিল রক্ষা করতে চান, তবে নদীর বাঁধ নিয়ে কথা বলুন, স্লুইজগেইট নিয়ে কথা বলুন, ভূমি বেহাত হওয়া নিয়ে কথা বলুন, অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে কথা বলুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিকে আশ্রয় করে মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক মিতালি রক্ষা করে তৈরি হয়। প্রকৃতির ও মানুষের মেলবন্ধন রচনার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যে জনসম্পদ তৈরি করবে, তারা হবে সত্যিকারের প্রকৃতির সন্তান, দেশপ্রেমিক। আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করুন। লোভে পড়ে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলবেন না। এই প্রতিষ্ঠানের আলোয় আপনার পরিবার ও সমাজ আলোকিত হবে। আর যদি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় অধিবাসী আপনাদের সামাজিক ও আইনগতভাবে প্রতিহত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস যখন নির্মাণের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল, তখন পরিবেশ আন্দোলনকর্মীর পরিচয়ে একটি লোভী, স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে চলনবিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাতে শুরু করে। আমরা লক্ষ্য করি গত নয় বছরে এ বিষয়ে একটি কথাও কোনো মহল থেকে বলা হয়নি। আমরা এমন মিথ্যাচারের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যারা এই কাজটি করছে, তারা কেবল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী নয়, তারা রবীন্দ্র বিরোধী, উচ্চশিক্ষা বিরোধী এবং দেশবিরোধী। শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে আমরা জানি এবং এটি প্রমাণিত সত্য। এই স্থানের সঙ্গে চলনবিলের রৈখিক দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার।

আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে নদী ভালোবাসেন, চলনবিল রক্ষা করতে চান, তবে নদীর বাঁধ নিয়ে কথা বলুন, সুইজগেইট নিয়ে কথা বলুন, ভূমি বেহাত হওয়া নিয়ে কথা বলুন, অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে কথা বলুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিকে আশ্রয় করে মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক মিতালি রক্ষা করে তৈরি হয়। প্রকৃতির ও মানুষের মেলবন্ধন রচনার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যে জনসম্পদ তৈরি করবে, তারা হবে সত্যিকারের প্রকৃতির সন্তান, দেশপ্রেমিক। আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করুন। লোভে পড়ে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলবেন না। এই প্রতিষ্ঠানের আলোয় আপনার পরিবার ও সমাজও আলোকিত হবে। আর যদি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্ত-কর্মচারী এবং স্থানীয় অধিবাসী আপনাদের সামাজিক ও আইনগতভাবে প্রতিহত করবে। টানা বিশদিনের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ যাবতীয় কার্যক্রম বিপর্যস্ত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। আমরা দ্রুত স্বাভাবিকভাবে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চাই। সেই পথটি কেবল সরকারই খুলে দিতে পারে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণকারী সরকার শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান জানাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

আমাদের এই আন্দোলনে শাহজাদপুরের সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আন্দোলনের জন্য রাজপথে নেমে এসেছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। গণমাধ্যম কর্মীরা এই আন্দোলনে যেভাবে আমাদের পাশে আছেন, তা অবিস্মরণীয়। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। আপনারা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমৃত্যু এভাবেই জড়িয়ে থাকবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

চলনবিলের ক্ষতি হবে কি করে  তারা বলেন একটি মহল কোন এক পক্ষের কাছে থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাঁধা দিচ্ছে।

 

এম.  রওশন আলম

শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি