সংগৃহীত ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউটি) শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও র্যাগিংসহ আর্থিক অনিয়মের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউটি) শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন অভিভাবকবৃন্দ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত দুই মাস ধরে, আইইউটি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, র্যাগিং, দুর্নীতি, থিসিস জালিয়াতি এবং আর্থিক অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কিছু শিক্ষক তাদেরকে বন্ধ দরজার আড়ালে তাদের মারধর করেছেন এবং এমনকি তাদেরকে একটি কক্ষে বন্দী রেখে নির্যাতন করা হয়েছে, যাকে তারা ‘টর্চার সেল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত দুই মাস ধরে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন, অবস্থান ধর্মঘট, মিছিল এবং মশাল মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রথমে, শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি পেশ করেছিল, যা কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তীতে নয়টি দফায় প্রসারিত হয়।
এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— এক্সিডেন্টে ভুক্তভোগীদের জন্য জবাবদিহিতা, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের পৃথকীকরণ, নির্যাতনের সাথে জড়িত শিক্ষকদের তদন্ত ও বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগগুলোর তদন্ত, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাসন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।
তাদের দাবি, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘চলুক’ নামক একটি শিক্ষক ফোরামের অস্তিত্ব আবিষ্কার করে, যা ওআইসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে পরিচালিত এবং নিজস্ব সংবিধান দ্বারা চালিত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই ফোরামটি ছাত্র-বান্ধব উদ্যোগগুলোতে বাধা সৃষ্টি করে এবং একটি ছায়া কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন
যেভাবে হচ্ছে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন
টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকে তলব
ভোটারবিহীন নির্বাচন: শেখ হাসিনাসহ ইসি কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা