October 17, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, October 15th, 2025, 7:13 pm

চাঁদনীঘাট বাইপাস সড়কটির বেহাল দশা ২০ বছরেও কোন সংস্কার হয়নি

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

বাইপাস সড়কটি একসময় ছিল পাকা, ব্যস্ততম এক সড়ক। প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন আর হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকত সড়কটি। এখন সে স্মৃতি দাড়িঁয়েছে দুর্ভোগে। চলাচলের পথ নয়, এ যেন দুর্ভোগের এক নির্মম অধ্যায়। নামে সড়ক হলেও বাস্তবে রয়েছে কর্দমাক্ত সড়ক।

মৌলভীবাজার জেলা শহরের একবারে কাছে মনুনদীর উত্তরপার চাঁদনীঘাট ব্রীজ থেকে পূর্বপাশ হয়ে কুলাউড়া মুল সড়কের সাথে এর সংযোগ।  বাইপাস সড়কটির বেহাল অবস্থা। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ শত মিটার। গত বিশ বছরেও সড়কটি মেরামতের মুখ দেখেনি। এই দীর্ঘ অবহেলার কারণে সড়কটি ক্রমাগত ভেঙে গিয়ে এখন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এই সড়ক দিয়েই স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ ও নানাধরনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এখন তারা চলেন আতঙ্কিত হয়ে। পিচ আর খোয়ার বদলে হেঁটে যেতে হয় কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা পথ পেরিয়ে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে একটি কেজি স্কুল, যার শিক্ষার্থী দুই শতাধিক। এছাড়াও চাঁদনীঘাট ও একাটুনা এই দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষজন স্বল্প সময় শহরে বা শহর থেকে নিজ নিজ এলাকায় যাতায়াতে এই সড়ক ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। সড়ক সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ কারণে দিনে দিনে সড়ক আরও খারাপ হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ছোট একটি সড়ক সংস্কারে দীর্ঘ সময় লাগায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তাদের দাবি, দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। জানা যায়, ২০০৪ সালে এই সড়কটি পাকা করার পর আর কাজ বা সংস্কার হয়নি। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল চার দলীয় জোট সরকার। পরবর্তী ২০ বছরে ক্রমান্বয়ে ভাঙতে ভাঙতে এখন কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা পথে রুপান্তর হয়েছে সড়কটি। বিগত সরকারের সময় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের নানা মত ও নানা শর্তের বেড়াজালে এই সড়কটি মেরামত করা হয়নি। এরমধ্যে কেউ কেউ সড়কটি মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও, আশ্বাসে সীমাবদ্ধ ছিল।

গত ৫ বৎসর ধরে অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে জানিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী রাফি আহমদ বলেন, আমিসহ এলাকার কয়েকজন নিজ উদ্দ্যোগে মাঝেমধ্যে খোয়া ও বালু দিয়ে হাঁটাচলার ব্যবস্থা করি। কিন্তু গাড়ি চলাচলে তা আবারও পূর্বের অবস্থায় চলে যায়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমদ আলী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। আমরা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে এলজিইডির আইডিভুক্ত করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে।