অনলাইন ডেস্ক :
চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ হয়েছে জাপানের প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান। দেশটির বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ওই মনুষ্যবিহীন যানটি ঠিকভাবে চাঁদে অবতরণ করতে পারেনি। মহাকাশযানটি গত মঙ্গলবার রাতেই চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু হাকুতো-আর নামের ওই ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে এটি চাঁদের পৃষ্ঠে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে আসলেই কী ঘটেছে তা জানতে সবকিছু খতিয়ে দেখছেন প্রকৌশলীরা। টোকিওভিত্তিক আইস্পেসের তৈরি এই ল্যান্ডারে ছিল একটি অনুসন্ধানী রোভার এবং টেনিস বল আকৃতির একটি রোবট।
এই মহাকাশযানটি গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্পেসএক্সের রকেটে করে পাঠানো হয়েছিল। গন্তব্যে পৌঁছাতে যানটির পাঁচ মাস সময় লেগেছে। আইস্পেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাকেশি হাকামাদা বলেন, আমরা ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পরিকল্পিত অবতরণের সময় পার হয়ে যাওয়ার প্রায় ২৫ মিনিট পর তিনি বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে যে আমরা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ সম্পূর্ণ করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, এই মিশনের স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও এটি তাদের কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই পুরো কার্যক্রম থেকে তারা প্রচুর তথ্য ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন। এটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২৯৫ ফুট (৮৯ মিটার) দূরে ছিল। মহাকাশযানটিতে থাকা এম১ ল্যান্ডারের উচ্চতা ছিল ২ মিটার এবং ওজন ৩৪০ কেজি। এর আগে চাঁদে পাঠানো মানসম্মত মহাকাশযানগুলোর তুলনায় এটি তুলনামূলক অনেক ছোট ছিল। প্রায় এক মাস আগে চাঁদের কক্ষে পৌঁছেছিল এটি।
মঙ্গলবার চন্দ্র পৃষ্ঠের উপরে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ঘন্টায় প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার বেগে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কথা ছিল এই মহাকাশ যানটির। আর চাঁদের উত্তর গোলার্ধে অবতরণের পরই সেখানকার মাটি, ভূপ্রকৃতি এবং বায়ুমন্ডল পরীক্ষার জন্য দুটি পেলোড বা স্যাটেলাইট মোতায়েনেরও কথা ছিল। এখন পর্যন্ত চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে কোনো মহাকাশযান অবতরণে সক্ষম হয়েছে মাত্র তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। তবে এইসব মিশনই ছিল সরকার পরিচালিত।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
মানুষের মস্তিষ্ক কতটা দ্রুত কাজ করে
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য