চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষ হওয়ার পর এখন চলছে গণনার প্রস্তুতি।
এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হলেও গণনা করা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনার প্রতিটি ধাপ সরাসরি দেখানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে ১৪টি বড় এলইডি স্ক্রিন।
চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ ছাড়া সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।’
চাকসু নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৭ জন। ভোটগ্রহণ হয়েছে পাঁচটি অনুষদে, ১৫টি হলের জন্য নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রে মোট ৬০টি কক্ষে স্থাপন করা হয় ৬৮৯টি বুথ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নিজস্ব নামে প্যানেল দিয়েছে, আর ইসলামী ছাত্রশিবির অংশ নিচ্ছে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে। বাম সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যৌথভাবে গঠন করেছে ‘দ্রোহ পর্ষদ’ প্যানেল। কয়েকটি বাম ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নিয়েছে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলে। ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন, আর জিএস পদে ২২ জন প্রার্থী।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
তহবিল সংকটে কঙ্গো থেকে ফিরছে বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্ট
রাত পোহালেই রাকসু ভোট, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ