July 14, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 14th, 2025, 11:16 am

চানখারপুলে হত্যা : চার আসামি ট্রাইব্যুনালে, অভিযোগ গঠন আজ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

তারা হলেন- ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে তাদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই মামলার প্রধান আসামি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার জন পলাতক রয়েছেন। আজ চানখারপুলে হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এই মামলার পলাতক চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে গত ৩ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আসামিরা হাজির না হওয়া ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। গত ৩ জুন ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন তারা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে গুলি করে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম (ফরমাল চার্জ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ২৫ মে আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে অভিযোগটি আমলে নেওয়ার আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর ট্রাইব্যুনালের অভিযোগটি (কগনিজেন্সে নেওয়ার) আমলে নেওয়ার আদেশ দেন।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনের অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় আসামি কর্তৃক নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, শহীদ মো. ইয়াকুব, শহীদ মো. রাকিব হাওলাদার, শহীদ মো. ইসমামুল হক এবং শহীদ মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।

তদন্ত সংস্থা এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থার দেওয়া এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনটি ৯০ পৃষ্ঠার। এটি তদন্ত করতে তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ৬ মাস ১৩ দিন। তদন্ত প্রতিবেদনে ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ১৯টি ভিডিও, পত্রিকার ১১টি রিপোর্ট, ২টি অডিও, বই ও রিপোর্ট ১১টি এবং ৬টি ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি করা হয় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।