জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৬ মিনিটে তিনি ট্রাইব্যুনাল ভবনে পৌঁছান। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেলে এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর নবম দিনের মতো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। সেদিন একজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। তার আগে ২৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনে তিনজন সাক্ষ্য দেন, যার মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ছিলেন।
১৪ আগস্ট সপ্তম দিনে সাক্ষ্য দেন এপিবিএনের দুই সদস্য—কনস্টেবল অজয় কুমার ও কনস্টেবল আবদুর রহমান।
১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ দিনে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী নিউমার্কেটের দোকানকর্মী মো. টিপু সুলতান এবং নৌবাহিনীর মালামাল সরবরাহকারী মো. মনিরুজ্জামান।
৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি, প্রত্যক্ষদর্শী রাব্বি হোসেন এবং ব্যবসায়ী আবদুল গফুর।
২১ আগস্ট চতুর্থ দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ রাকিব হোসেন হাওলাদারের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বড় ভাই রাহাত হাওলাদার। তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
১৩ আগস্ট তৃতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার, প্রতিবেশী শহীদ আহমেদ এবং শহীদ মো. ইসমামুল হকের ভাই মহিবুল হক।
১২ আগস্ট দ্বিতীয় দিনে জবানবন্দি দেন সহযোগী অধ্যাপক আঞ্জুয়ারা ইয়াসমিন ও শেখ জুনায়েদের বাবা শেখ জামাল হাসান।
আর ১১ আগস্ট প্রথম দিনে, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের পর শহীদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন এবং মো. নাসিরুল ইসলাম।
পলাতক আসামিরা হলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম এবং সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
গত ১৪ জুলাই ট্রাইব্যুনাল চানখারপুল হত্যাকাণ্ডে পলাতক চারজনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। এতে নিহত হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক। বহু মানুষ আহতও হন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
জুলাই সনদ স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই-সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪.৭৯ শতাংশ