কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
এ স্নানের লগ্ন ভোর ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই স্নানকে ঘিরে লাখো পূর্ণার্থীর ভিড় জমান নদ পাড়ে। চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদেও নিজ নিজ পাপ মোছনের জন্য প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র নদে পূণ্যস্নান করে থাকেন। এতে তাদের নিজ শুদ্ধি ঘটে এবং পাপ মোচন হয় বলে বিশ্বাস। অষ্টমীর আয়োজকরা জানান, এবার পুণ্য স্নানে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো দুর দুরান্ত থেকে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা চলে এসেছেন এ এলাকায়।চিলমারী নদীবন্দরের রমনা ঘাট থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে জোড়গাছ পর্যন্ত প্রায় ৩কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বালুর উপর তৈরী করা হয়েছে হরেক রকম পণ্যের ষ্টল।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এবং ভারত,চীন,নেপালসহ বাইরের দেশ থেকে পূর্নাথীরা গত শুক্রবার সকাল থেকেই চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন। আগত পূণ্যার্থীদের থাকার জন্য উপজেলার প্রায় ২২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পূণ্যার্থীদের স্নান পরবর্তী পোশাক পরিবর্তনের জন্য এবং রাত্রী যাপনের জন্য ৪৪টি অস্থায়ী বুথ ও টয়লেট ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূণ্যার্থীদের পূজাপর্বের জন্য প্রায় দুই শতাধিক ব্রাহ্মণ পূজারি অষ্টমীর দায়িত্ব পালন করছেন। আর এ স্নান সাবলীল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের বিভিন্ন পদে ১৮১ জন সদস্য ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। শনিবার বিকেলে জোড়গাছ বাজারে এবং আগামীকাল রোববার কাঁচকোল বাজার, বালাবাড়ীহাট, রাণীগঞ্জ বাজার ও ফকিরেরহাটে অষ্টমীর উপলক্ষে মেলা বসবে।
আরও পড়ুন
সরকারি সভাকক্ষে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা!
ফিলিস্তিনের রাফা ও গাজায় ইসরায়েলের গণ হত্যার প্রতিবাদে সাপাহারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে
রংপুর অঞ্চলে পরিবেশগত উন্নতির পাশাপাশি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে বাস্ততন্ত্র