অনলাইন ডেস্ক :
বুধবার, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ ও আমেরিকার যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। গত বছরের ২৫ আগস্ট দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল আসিফ আকবর পরিচালিত ছবিটি। এ বছর এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। ২৩ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। প্রযোজক আবদুল আজিজ দাবি করেছেন, ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে ‘টপ সেলিং মুভি’র তালিকায় উঠে এসেছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পাবে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবার্গে। সামনের সপ্তাহে (১৭ মে) মুক্তি পাবে পাকিস্তানে।
এরপর ২৪ জুন একসঙ্গে মুক্তি পাবে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, চিলি, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, পেরু, বলিভিয়াসহ এক ডজন দেশে। পরের মাসে (৪ জুলাই) মুক্তি পাবে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডে। আগস্টে মুক্তি পাবে তাইওয়ানে। এর বাইরে ভারত, চীন, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, গ্রিস, রুমানিয়া, পোল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ আরো কয়েকটি দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশি ছবিটি, নিশ্চিত করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আবদুল আজিজ। তবে সব দেশে মুক্তি দেওয়ার সঙ্গে চীনকে মেলাতে চান না আজিজ।
তিনি বলেন, “চীনের চলচ্চিত্র বাজার সম্পর্কে কমবেশি অনেকেই জানেন। বলিউডের বড় বড় ছবি সেখানে মুক্তি পায় এবং কোটি টাকা ব্যবসা করে। আমির খানের ‘দঙ্গল’ তো রীতিমতো রেকর্ড করেছিল। বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রযোজকরা এখন চীনের বাজারে ছবি মুক্তি দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। আমরা প্রথম বাংলাদেশি ছবি হিসেবে সেখানে ‘এমআর-৯’ মুক্তি দিতে যাচ্ছি।” চীনে মুক্তির জন্য এরইমধ্যে দেশটির সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে ‘এমআর-৯’। ছাড়পত্র পেলেই মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করবেন, জানালেন আজিজ। গত মাসে পাকিস্তানে ঈদের ছবি ‘মোনা-জ¦ীন ২’ মুক্তি দিয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া।
সেখানে বেশ দর্শক সাড়া পেয়েছিল বলে দাবি করে আজিজ বলেন, “আমরা সব সময় বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পরে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের ছবি পাকিস্তানে মুক্তি পায়নি। আমরাই সেটা শুরু করেছি এবং সফল হয়েছি। আশা করছি, চীনেও ‘এমআর-৯’ দারুণ সাড়া ফেলবে। সেখানে বাংলা ছবির বাজার তৈরি হবে। নিয়মিত অন্য প্রযোজক-পরিচালকরা সেখানে ছবি মুক্তি দেবেন।” আজিজ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে দিন দিন হলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে ছবির বাজেট ফেরত আনতে গেলে বিশ্ববাজারের বিকল্প নেই।
চীন বিশ্বের অন্যতম বড় বাজার।’ কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। ছবিতে মাসুদ রানা হয়েছেন এ বি এম সুমন। সঙ্গে আছেন হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী। এর মধ্যে আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা ইসলাম (ঢালিউড)। মাইকেল জেই হোয়াইট, ফ্র্যাংক গ্রিলো, নিকো ফস্টার, ওলেগ প্রুডিয়াস, জ্যাকি সিগেল (হলিউড)। আরো আছেন সাক্ষী প্রধান ও ওমি বৈদ্য (বলিউড)।
৮৩ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি এরইমধ্যে ১০০ কোটি টাকা আয়ের পথে এগিয়ে গেছে, জানালেন আজিজ। শুধু তা-ই নয়, সিরিজের পরের ছবি ‘এমআর-৯ : স্কাই ড্যান্স’-এর শুটিংয়ের প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। মাসুদ রানা সিরিজের ‘ভারত নাট্যম’ অবলম্বনে নির্মিত হবে ছবিটি। এখানেও মাসুদ রানা হবেন এ বি এম সুমন। আগের পর্বের বেশির ভাগ অভিনয়শিল্পীই থাকবেন এখানে। সামনের বছরই মুক্তি পাবে ছবিটি।
আরও পড়ুন
মুক্তি পাওয়া ৪১ সিনেমার কোনটির আয় কত
শক্তিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই
এবার ‘তদন্ত কর্মকর্তা’ হয়ে সিনেমা হলে মোশাররফ করিম