কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত (এআই) চীনা কোম্পানি ডিপসিকের তৈরি নতুন প্রযুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীনা কোম্পানিগুলোর অপেক্ষাকৃত সস্তা ও দ্রুতগতির এআই পদ্ধতি তৈরির উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তিনি।
গতকাল সোমবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্প বলেন, ‘চীনা কোম্পানির তৈরি করা ডিপসিক এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) চালু হওয়ার বিষয়টি আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন একটি সতর্কবার্তা দিচ্ছে যে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়াকে মনোযোগের কেন্দ্রে রাখতে হবে আমাদের।’
গতকাল বিনিয়োগকারীরা বিশ্বজুড়ে তাদের প্রযুক্তির শেয়ার বিক্রি করেছে। কম খরচের চীনা বুদ্ধিমত্তার মডেলটির উত্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এআই প্রযুক্তির আধিপত্য হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের। চীনের স্বল্প খরচের ডিপসিকের কারণে নিউইয়র্কের পুঁজিবাজার ওয়ালস্ট্রিটে টালমাটাল অবস্থা। চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনবিডিয়ার শেয়ারমূল্য পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার কমেছে। অন্যান্য মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরও নিম্নমুখী।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চীন ও কিছু চীনা কোম্পানি সম্পর্কে পড়ছি। বিশেষ করে একটি কোম্পানি অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতির এবং অনেক কম খরচের এআই পদ্ধতি নিয়ে আসছে। আর এটা ভালো। কারণ, আপনাদের অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হবে না। আমি এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখি, সম্পদ হিসেবে দেখি।’
কেন এটাকে ইতিবাচক ভাবছেন, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। কারণ, আপনারাও কাজটি করবেন। আশা করি, আপনাদের বেশি খরচ করতে হবে না, কিন্তু একই ফল পাবেন।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের আইডিয়া তো সব সময়ই আছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই প্রথম। তাই আমি বলব অত্যন্ত ইতিবাচক কিছু তৈরি হওয়ার বিষয়টিও ইতিবাচক। সুতরাং কোটি কোটি অর্থ খরচ না করে আপনারা যদি কম খরচ করেন, তাহলে একই সমাধান পাবেন বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন
শুরুতে হম্বিতম্বি, এখন চীনের প্রতি নরম সুর ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী প্লেনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের আশঙ্কা
গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কের ব্যস্ততম এলাকাগুলো অনেকটাই ফাঁকা