অনলাইন ডেস্ক :
স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গত শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের একটি কোভিড-১৯ শ্মশানের কর্মীদের অনেক বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। বাইরে মৃতদেহ বহনকারী গাড়িগুলো সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরে ডিসেম্বরে বিশ্বের কিছু কঠিনতম কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজধানী বেইজিংরে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়েছে। তবে কর্মী ও গাড়িচালকরাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর থেকে সরকারিভাবে করোনায় মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়নি। স্থানীয় সময় গত শনিবার বিকেলে রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বেইজিংয়ে কোভিডে মৃতদেহ দাহের জন্য নির্ধারিত শ্মশান ডোংজিয়াওয়ে ৩০টি লাশবাহী গাড়ি থামতে দেখেছেন। এগুলোর মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি ওয়াগনে চাদরে মোড়ানো মৃতদেহ ছিল। কিছুক্ষণ পরে হ্যাজমাট স্যুট পরিহিত শ্রমিকরা মৃতদেহটি তুলে নিয়ে দাহের জন্য নির্ধারিত প্রস্তুতিমূলক কক্ষে নিয়ে যায়। শশ্মানের অসংখ্য চিমনির মধ্যে তিনটি দিয়ে ক্রমাগত ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। শ্মশান থেকে কয়েক মিটার দূরে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পার্লারের মেঝেতে মৃতদেহ থাকা প্রায় ২০টি হলুদ ব্যাগ দেখা গেছে। এদের কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। পার্কিং সিকিউরিটি অপারেটর এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের ভবনে থাকা এক দোকানের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অন্য সময়ের তুলনায় এখন মৃতের সংখ্যা বেশি এবং ৭ ডিসেম্বর মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮