অনলাইন ডেস্ক :
চীনের প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শেনজেন শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাই লকডাউনের আওতায় রয়েছেন। শনিবার থেকে সেখানে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। ওই শহরের প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন লকডাউনের আওতায় রয়েছে। খবর রয়টার্সের। এর আগেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের চেংড়ু শহরের ২ কোটি ১০ লাখ মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে শুরু থেকেই কোভিড জিরো নীতি অনুসরণ করছে চীন। এর আওতায় একের পর এক শহর লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। চেংড়ু শহর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটায় প্রতি পরিবার থেকে একজন বাইরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। লকডাউন চলাকালে অন্য প্রদেশের বাসিন্দাদের চেংডু শহরে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে সব ফ্লাইট। শুক্রবার সেখানে ১৫৫ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ১৫০।এদিকে শেনজেন শহরে লকডাউনের পাশাপাশি বাস ও সাবওয়ে পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। ওই প্রদেশের ছয় জেলার বেশিরভাগ মানুষকে এক সপ্তাহে দুবার করোনার টেস্ট করাতে হবে। খাবার, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য প্রতিটি পরিবারের একজন দুদিন পর পর বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার শেনজেন শহরে স্থানীয়ভাবে ৮৭ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাস পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েই গেছে। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য