April 21, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, April 20th, 2025, 2:28 pm

ছাত্রদের কারণেই তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ অনেক নেতা-কর্মী মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন – গোলাম কিবরিয়া সরকার

আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ জাতীয় নাগরিক পার্টির উপদেষ্টা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া সরকার বলেছেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল। বিএনপি ও জামায়াতের উপর অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। অনেক নেতা কর্মীকে ঘুম খুন করেছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। শুধু তাই নয়, নেত্রীর বাসার সামনে থেকে একটি ট্রাক সরানোর ক্ষমতা ছিলনা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। সেই ছাত্ররাই ড. ইউনুছকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাদের কারণেই বেগম খালেদা জিয়াসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীরা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ অনেক নেতা-কর্মীকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। অথচ অন্তর্বতর্ী কালীন সরকারকে সংস্কার করার সুযোগ না দিয়ে বিএনপি নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। কারণ তাদের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জনগন বুঝে ফেলেছে বিএনপি একটি চাঁদাবাজ দল। চাঁদাবাজি করার জন্য নির্বাচন একটি লাইসেন্স মাত্র।

আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া সরকার শনিবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা জাতীয় নাগরিক পার্টির বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পীরকাশিমপুর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম এ জাহের মুন্সী, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এডভোকেট ওবায়দুল হক সিদ্দিকী, উপজেলা নাগরিক পার্টির সভাপতি মিনহাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক এনামুল আলম।

বাঙ্গরা বাজার থানা জাতীয় নাগরিক পার্টির সভাপতি কামরুল হাসান কেনালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়ন জাতীয নাগরিক পার্টির সভাপতি কবির হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শাওন পারভেজ ও প্লাবন সরকার। অনুষ্ঠানে উপজেলা ও থানা জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪/৫ হাজার নেতা-কমর্ী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া সরকার আরো বলেন, আমাকে সৈরাচারের দোসর বলা হয়। কায়কোবাদতো সৈরাচার এরশাদের দোসর। মাঝখানে আওয়ামী লীগেও যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কায়কোবাদ সৈরাচার এরশাদকে ধর্মের বাপ ডেকে হুইপ ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি এরশাদকে ছেড়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে ধরাশায়ী হন। ১৯৯৬ সালে সৈরাচার এরশাদের জাতীয় পাটিতে আরো যোগ দেয়। ২০০১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। স্বার্থের জন্য তিনি আবার যে কোন দলে যোগ দিতে পারে। এ ব্যাপারে সকলে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, কায়কোবাদ আওয়ামী লীগের সাথে আতঁাত করে রাজণীতি করেছেন। তঁার ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা কেউ মামলা খায় নাই। কেউ জেলে যায় নাই। আমি ৩ বার জেলে গিয়েছি। কায়কোবাদ তঁার নেতা কমর্ীদের নাকে নাকা পরিয়ে রেখেছেন। আমি গত ১৬ বছর তাদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সুখ-দুখের সাথী ছিলাম। নেতা-কমর্ীদের মামলা কুমিল্লাসহ হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে এনছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম এ জাহের মুন্সী বলেন, কায়কোবাদ ৫ বার এমপি থাকাকালে নিজের ও তঁার পরিবার পরিজনের আখের গোছানো ছাড়া মুরাদনগরে কিছু করেননি। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়ার কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন সহ্য করতে পারছেন না। কা?য়কোবাদ উন্নয়নমূলক কাজে বঁাধা সৃষ্টি করছেন?। তঁার বাধায় কোন কাজ হবে না।

মুরাদনগরের মানুষ চঁাদাবাজি চায়না, উন্নয়ন চায়। মুরাদনগরকে একটি সুন্দর উপজেলা গড়তে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া শুধু আমাদের নয়, সারা বাংলাদেশের গর্ব। মুরাদনগরবাসী উন্নয়নের স্বার্থে আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।