October 4, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 24th, 2023, 10:15 am

ছেলে ফেরার অপেক্ষায় মা

১৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ আইনজীবী মিজানুরের

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের রাজনগরে নিখোঁজের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন সন্ধান মেলেনি মিজানুর রহমান নামের এক তরুণ আইনজীবীর। যার কারণে তাঁর মায়ের কান্না থামছেনা। সন্তান নিখোঁজের পর থেকে পাগলপ্রায় মা আর স্বজনেরা রয়েছেন দিশেহারা। নিখোঁজ আইনজীবীকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে মিজানুরের পরিবারের সদস্যরা তাঁর ফেরার জন্য তীর্থ কাকের মতো অপেক্ষায় রয়েছেন।

রাজনগর থানা পুলিশ ও নিখোঁজ মিজানুরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই সোমবার সকালে মৌলভীবাজার শহরে বন্ধুর সাথে দেখা করার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মিজানুর রহমান। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ নিয়েও মেলেনি তাঁর সন্ধান।

নিখোঁজ মিজানুর রহমান রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুরিখাল গ্রামের প্রবাসী আবুল হাসানের বড় ছেলে। নিখোঁজের পর থেকে মিজানের মায়ের কান্না থামছে না। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আকুতি করছেন বারবার। মিজানুর রহমানের বাড়িতে চলছে কান্নার রোল। ছেলের সন্ধানে বিলাপ করছেন মা। মিজানুরের মা রেজিয়া বেগম বলেন- ‘আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। আমার বুকের ধন বুকে ফিরে আসুক।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, মিজানুর দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার জন্য সিলেট শহরে একটি এজেন্সীকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা দেন। নিখোঁজের পরদিন মঙ্গলবার ইউকে অ্যাম্বেসী থেকে ভিসা সংগ্রহের কথা পরিবারে জানিয়েছিলেন। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ। এমন ঘটনায় পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশিরাও হতবাক। এ ঘটনায় রাজনগর থানায় ওইদিন রাতেই সাধারণ ডায়রি করেছেন নিখোঁজের ছোট ভাই।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, সকল বিষয় গুরুত্ব দিয়ে মিজানুরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এখনও কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকায় অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মোবাইল ট্র্যাকিং করা হয়েছে। পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত তাঁর সন্ধান মিলবে।

প্রসঙ্গত, নিখোঁজ আইনজীবী মিজানুর রহমান ২০২১ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সিলেট আদালতে এক সিনিয়র আইনজীবীর সাথে আইন পেশায় যুক্ত হন। তবে তিনি গত এক বছর ধরে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য উন্নত কোন দেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।