দুর্নীতির মামলায় অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) তিন দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদেশ না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকে মামলা থাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে ধানমন্ডি থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে। এর ভিত্তিতে ডিবি অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত ও সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্সের ঋণ জালিয়াতি করে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, স্থাপনাবিহীন ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কেনা জমিকে ১৬৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা মূল্যায়ন করা (অতি মূল্যায়ন) হয়। এর মাধ্যামে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ এবং গ্রহণের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন আসামিরা। অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল সুপ্রভ স্পিনিংয়ে অনুকুলে মঞ্জুর করা ১৮০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাবে গ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
মিটফোর্ডে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে: আসিফ নজরুল
কক্সবাজারে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে : জাতিসংঘ
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা