আওয়ামী লীগের দেড় দশকে নিয়ম না মেনে, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে একের পর এক ঋণ নিয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক থেকে এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৭৯ কোটির টাকা, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইন ভেঙ্গেই দেওয়া হয়েছে।
ওরিয়ন অয়েল এন্ড শিপিংয়ের ঋণ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সোনারগাঁ পাওয়ার ৩০২ কোটি, মেঘনাঘাট পাওয়ার ৯৮ কোটি, ডিজিটাল পাওয়ার ২১০ কোটি আর ওরিয়ন ইনফিউশনের ঋণ রয়েছে ৯৩ কোটি টাকা। তবে এসব ঋণ আদায়ে তেমন অর্জন নেই জনতা ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি গ্রুপ কোনো ব্যাংক থেকে মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে পারে না। তবে ওরিয়ন গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে নিয়ম বহির্ভূত ঋণ নিয়েছে।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, বড় বড় খেলাপি যারা, তাদের থেকে ঋণ আদায় করা রাতারাতি কিন্তু সম্ভব না। একটা কনসোর্টিয়াম করে দেওয়া হয়েছে, পুরো ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে। সেটা কাজ করছে। এখানে কাজ একটু সময় সাপেক্ষ। আমরা আশাবাদী যে একটা ফল পাবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যবসায়িক গ্রুপ তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। তবে ওরিয়ন গ্রুপ সেই সীমা অতিক্রম করে প্রায় ১৮ গুণ বেশি ঋণ নিয়েছে জনতা ব্যাংক থেকে। তবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ঋণ শোধে সময় পেয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেছেন, বড় বড় শীর্ষ খেলাপি রয়েছে অনেক। কিন্তু শীর্ষ খেলাপিরা যদি তাদের প্রতিষ্ঠান চালু রাখে এবং সেই প্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত তারা তো এদেশের মানুষ। তাদের কথাও তো বাংলাদেশ ব্যাংককে মনে রাখতে হবে। মূলত এসব কারণেই সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যাংকগুলোর বোর্ডকে প্রতিনিয়ত মনিটর করা হচ্ছে যে এই ঋণগুলো যাতে কোনোভাবেই ডাইভার্সন না হয়।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
মার্কিন তুলা ব্যবহার করলে তৈরি পোশাকে শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ: বিজিএমইএ
ঢাকাবাসীর প্রতি ছাত্রদলের অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ
জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন, আইসিইউতে স্থানান্তর