জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু মুসাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা এবং বাবার বাড়িতে বসবাস করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু মুসা ওই নারীর পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তাঁকে মুঠোফোনে বিরক্ত করতেন। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ম্যাসেজ দিতেন। তিনি মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় অসুস্থ ফুফু শারমিন আক্তারকে দেখার জন্য জয়পুরহাট শহরে আসেন। আবু মুসা জয়পুরহাট শহরে আসার কথা জানতে পারেন। আবু মুসা তাঁকে চা খাওয়ার কথা বলে কৌশলে শহরের মাস্টারপাড়ার ফাহিমা মেম্বারের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে মুসা তাঁকে কু প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে আবু মুসা তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাতে দেন। তিনি মুসাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে বাসার বাইরে সড়কে চলে আসেন।তখন মুসাও তাঁর পিছনে-পিছনে দৌড়ে এসে তাঁর চেপে ধরেন। তখন তিনি চিৎকার দিলে লোকজন সেখানে লোকজন জড়ো হন। তাঁরা মুসাকে আটকে রাখেন। তিনি ৯৯৯ কল করে ঘটনাটি জানান। এরপর পুলিশ এসে আবু মুসাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই নারী বলেন, আবু মুসা আগে একটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। তখন ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়।এরপর থেকে মুসা আমাকে উক্ত্যক্ত করছিলেন। আবু মুসা সেখান থেকে বদলি হয়ে ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদে আসেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আবু মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার পর বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
এস এম শফিকুল ইসলাম
জয়পুরহাট
আরও পড়ুন
বিকেএসপি’তে আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শুভ উদ্বোধন
অসহায় তিন নারীর মুখে ফুটল আশার হাসি — প্রতিশ্রুতি রাখলেন কায়কোবাদ
টাঙ্গাইলে ব্যাটারি রিকশার দাপট: বাড়ছে দুর্ঘটনা ও যানজট