December 9, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, December 8th, 2025, 7:01 pm

জলঢাকার কালীগঞ্জ বাজারে বুড়িতিস্তা খনন প্রকল্প চালুর দাবিতে কৃষকদের সেচের পানির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

‎নীলফামারী প্রতিনিধি:

‎নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার হাজার হাজার কৃষক বুড়িতিস্তা নদী খনন প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত চালুর ও কৃষকদের সেচের পানির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১১টা থেকে জলঢাকা উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কৃষকরা দলবদ্ধ হয়ে জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা ডিমলা–জলঢাকা সড়কে শত শত বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।‎

‎জলঢাকা উপজেলার দেশিবাই গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, “বুড়িতিস্তা নদী খনন হলে ক্যানেলের মাধ্যমে খুব কম খরচে আমাদের জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। কিছু ভূমিদস্যুর অবৈধ দখলের কারণে ঠিকাদাররা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ শুরু করতে পারছেন না।”

‎তিনি জানান, সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প হাতে নিলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নদীর জমি দখল করে বাধা সৃষ্টি করায় কৃষকরা নানা সমস্যায় পড়ছেন।‎

‎বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নীলফামারী জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ বলেন,

‎“সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নদী–খাল উন্নয়ন কাজ করছে। কিছু দখলদারের কারণে প্রকল্প আটকে আছে। প্রশাসন চাইলে একদিনেই এগুলো দখলমুক্ত করতে পারে।” নীলফামারী জেলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন পাওবোর খনন কাজে যাতে কেউ বাধা সৃষ্টি হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সরকার ও উপকারভোগীদের পক্ষে কাজ করছি।

‎এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুল আলিম জানান,

‎“আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে পাওয়া জমিতে আমরা বসবাস করছি, দলিল–খতিয়ান বৈধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড যেসব জমি অধিগ্রহণ করেছে সেসব জায়গায় খনন করতে আমাদের আপত্তি নেই।”

‎নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট মোট ৬৬৭ একর জমি দখলমুক্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়। খনন কাজের জন্য পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছিল। কাজ শুরু করতে গেলে ঠিকাদারদের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং কর্মীদের ওপর হামলাও হয়। অবৈধ দখলদাররা এখনো সরকারি জমিতে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

‎তিনি আরও বলেন,

‎“সাম্প্রতিক সময়ে আবারও মশাল মিছিলসহ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেয়েছি।”

‎নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন,

‎“বুড়ি তিস্তা খনন প্রকল্প সম্পর্কে আমরা অবগত। সরকারি কাজে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কোনো বাধা নেই। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য যা করণীয়, তা করা হবে।”