ডামুড্যা (শরীয়তপুর) সংবাদদাতাঃ
মোঃ নুরুল ইসলাম খোকন ২০সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রী ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হয়ে জিতু শুধু একটি নির্বাচনে বিজয় পাননি পুরো শরীয়তপুরকে করেছেন আলোকিত ও গর্বিত। ছোট বেলা থেকেই জিতু ছিলেন স্বপ্নবাজ। তার শৈশব কেটেছেন অজপাড়াগাঁয়ে। তার জীবনেও তিনি ছিলেন ভিন্ন। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষায় ব্রাক স্কুল থেকে শুরু করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেনিতে বৃত্তি লাভ করেন ও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে ছিলেন জিতু। ২০১৪ইং সালে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন সরকারি সামসুর রহমান কলেজে। ২০১৬ইং সালে এইচএসসি পরিক্ষায় তিনি ভালো রেজাল্ট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে ভর্তি হন সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার নেতৃত্বের নতুন পথচলা। ছোটবেলা থেকেই জিতুর চিন্তা চেতনা ছিল অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কাজে সক্রিয় ছিলেন রক্তদান সংগঠন গড়ে তুলে ছিলেন এলাকার সহপাঠীদের নিয়ে। দুঘর্টনা, অসু¯থতা কিংবা কোনো দুঃসময় সেখানেই সহপাঠিদের নিয়ে দাড়াতেন জিতু। কোদালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, জিতু একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। গোসারহাট সরকারি সামসুর রহমান কলেজের প্রফেসর বলেন, জিতুর যে প্রজ্ঞা ও নেত্বতগুন আমরা ছাত্রাব্যবস্থায় দেখেছিলাম আজ তা প্রতিফলন ঘটেছে। জিতুর মা মাজেদা বেগম, বলেন অভাব-অনটরেন সংসারে থেকেও লেখাপড়ার হাল ছারেননি জিতু। জিতুর বোন নিগার সুলতানা জানান, ছাত্র জীবন থেকেই এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টে ছুটে বেড়াতেন। আবদুর রশিদ জিতু জয় শুধু একটি পদ নয় এটি এক সংগ্রামী তরুনের অনুপ্রেরনামূলক ছাত্র জীবন কাহিনি। দারিদ্য ও সীমাবদ্ধতার দেওয়াল ভেঙে মেধা, সত্যতা আর মানুষের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন। শরীয়তপুর গোসারহাট উপজেলা কোদালপুর গ্রামে জন্ম নেওয়ায় আবদুর রশিদ জিতু পথ চলায় নতুন প্রজন্মের জন্য হবে এক উনুপ্রেরনা।
আরও পড়ুন
ভাঙন ঝুঁকিতে সংযোগ সড়কসহ কয়েকটি গ্রাম
হালেমা আক্তার মৌলভীবাজারের শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক
আমাদের দাবি পিআর মানতে হবে : রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল