নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় ১৭ বছর আগে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবারের পালাবদলের পর নির্বাসন থেকে তার দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসছে জানুয়ারিতে তারেকের দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপরই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় আসে। কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন দলের নেতাকর্মীরাও। এর মধ্যে ভার্চুয়ালি বিএনপির সমাবেশগুলোয় যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান সরকারকে সমর্থন, তাদের সংস্কার উদ্যোগ ও বিএনপির পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে উচ্চ আদালত কারাদন্ড দ্বিগুণ করে দশ বছর করে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় তারেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন তারেক রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে নড়াইলে একজন মুক্তিযোদ্ধার করা মানহানি মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদন্ড দেয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
৫ আগস্টের পর দুই মামলা প্রত্যাহার : ২০১৪ সালের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর তারেক রহমান লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত ১ অক্টোবর নোয়াখালীতে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পান তিনি। গত ২৫ আগস্ট আরেকটি মামলা প্রত্যাহার করেন দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক পারভেজ আহম্মেদ চৌধুরী। ৭ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক বাবুল আকতার মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দুর্যোগের ক্ষতি থেকে বাঁচার সহায়ক
শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন