অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে আনুমানিক ৭ লক্ষাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। শনিবার রাতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বিক্ষোভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি করার আহ্বান জানাচ্ছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধারের এক সপ্তাহ এই বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, গাজায় এখনও শতাধিক জিম্মি রয়েছেন। যদিও তাদের এক-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, নভেম্বরে হামাস ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, বিনিময়ে ইসরায়েল ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন একটি হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
এরপর থেকে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যা বিশ্বব্যাপী নিন্দার কারণ হয়েছে। এছাড়া, পশ্চিম তীরেও ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েল। বিক্ষোভের আয়োজকদের মতে, তেল আবিবে প্রায় ৫ লাখ এবং দেশের অন্যান্য শহরে আড়াই লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদক হামদা সালহুত জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা সরকারের নীতিতে পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেছেন যে, তারা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন যতক্ষণ না তাদের দাবি মানা হয়।
সাবেক জিম্মি ড্যানিয়েল আলোনি তেল আবিবের সমাবেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনি কিছুদিন আগে বন্দিদের পরিবারের সামনে ক্ষমা চেয়েছেন যে আমরা তাদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে পারিনি। কিন্তু ক্ষমা কিসের, যদি আপনি নিজের পথে পরিবর্তন আনতে না চান? নতুন ইসরায়েল ফান্ডের জনসংযোগ সহ-সভাপতি লিবি লেনকিনস্কি আল জাজিরাকে বলেন, অনেক ইসরায়েলি মনে করতে শুরু করেছেন যে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮