May 7, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 6th, 2025, 6:59 pm

জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপে রয়েছেন। তাদের কষ্টের মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের কল্যাণ হয় এমন সব কাজ আমাদের করতে হবে।

মঙ্গলবার (৬ মে) ইউজিসি ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ‘র‌্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট টুলস ভ্যালিডেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদানের জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের কল্যাণেও কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বেকার সমস্যা নিরসনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, তুন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগী সংস্থা হিসেবে ইউজিসি কাজ করছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোনো ধরনের খবরদারি নয় বরং একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. মাছুমা হাবীব।

প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরে আসা এবং শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নত করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন।

প্রফেসর মাছুমা হাবীব বলেন, আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও তাদের প্রত্যাশা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি। জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে শিক্ষকদের মানসিকতা পরিবর্তন এবং স্টুডেন্ট কাউন্সিলরদের প্রো-এক্টিভ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সন্তানহারা মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীনের সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও ইউনেস্কো প্রতিনিধি রাজু দাস উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও ইউজিসির কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. শাফিউন নাহিন শিমুল ‘র‌্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট টুলস ভ্যালিডেশন’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।