দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ ও মতৈক্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হওয়া ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ অবশেষে স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই সনদে স্বাক্ষর হয়।
প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে সনদে স্বাক্ষর করেন।
তবে সনদ স্বাক্ষরের দিনটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ।সকাল থেকেই ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সনদ প্রণয়নে তাদের ‘অবমূল্যায়ন’ ও ‘আইনি ভিত্তিহীনতা’র অভিযোগ তুলে তারা মূল মঞ্চের সামনে অবস্থান নিলে, পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন যোদ্ধা আহত হন।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ঐকমত্য কমিশন জরুরি বৈঠক ডেকে সনদের ৫ নম্বর দফাতে সংশোধনী আনে। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, সংশোধিত দফায় গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, আহতদের সহায়তা এবং শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার সংযোজিত হয়েছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো: প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপির না থাকাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বললেন মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি থাকলে ভালো লাগত: আসিফ নজরুল