আজ ১৮ জুলাই, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে জয়পুরহাটে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। ‘গণঅভ্যুত্থানের পদচারণায় ম্যারাথন’ শিরোনামে এই আয়োজনটি জাতির ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এক অনন্য প্রয়াস।
ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৭ টায় জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চত্বর থেকে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিপুল কুমার, জয়পুরহাট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান, সহকারী পরিচালক একেএম রওশন আলম, জেলা ক্রীড়া অফিসার গৌতম কুমার সরকার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, শহীদ নজিবুল সরকার বিশালের বাবা মজিদুল সরকার প্রমুখ।
জয়পুরহাট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের চত্বর থেকে শুরু হয় প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথন দৌড় হিচমী বাজার, কমরগ্রাম, বানিয়াপাড়া, হয়ে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজার গিয়ে শেষ হয়। এই ম্যারাথন দৌড়ে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১৫৮ জন প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান আহত জুলাই
যোদ্ধা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ, সমাজকর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। এই খেলায় অংশ নিতে পেরে খুশি অংশগ্রহণকারীরা। দৌড়ের পথজুড়ে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা, রেড ক্রিসেন্টের চিকিৎসা সহায়তা এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের মাধ্যমে জুলাই স্পিডকে ধরে রাখা, নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করা এবং সুস্থ জীবন যাপনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া তাদের মূল লক্ষ্য।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন, ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এই প্রতীকী ম্যারাথনের মাধ্যমে বা সেই দিনটির তরুণ প্রজন্মের কাছে তাৎপর্য তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি।
দৌড় শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন মো. মানিক, দ্বিতীয় হন আহসান হাবীব, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন মো. এরফান। তবে অংশগ্রহণকারীদের মতে, “আমরা সবাই বিজয়ী কারণ- আমরা ইতিহাসের পাশে হাঁটতে পেরেছি।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের এই আয়োজন প্রমাণ করে, ইতিহাসকে স্মরণ করার সবচেয়ে সুন্দর উপায় হতে পারে সম্মিলিত পদচারণা।
এস এম শফিকুল ইসলাম
জয়পুরহাট।
আরও পড়ুন
শাহরাস্তি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে লোকবল সংকট, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা
কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের টাকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা মতিন গ্রেপ্তার