জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, উপজেলার সদর বাজারসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এছাড়া ঝিনাইগাতী সদর বাজারে বন্যার পানি ঢুকে প্রায় ৩শতাধিক দোকানপাঠ মালামালের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সূত্রমতে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর দু’পাড় ৫/৬জায়গায় ভেঙ্গে পানি ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী বাজার, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, দীঘিরপাড়, আহমদ নগর, চতল, রামনগর, মাটিয়াপাড়া এবং নলকুড়া ইউনিয়নের নূনখোলা, ডাকাবর, ধানশাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ দাড়িয়ারপাড়, উত্তর দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী ও দক্ষিণ কান্দুলীসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যায় প্লাবিত এলাকার আউশ ও সবজির ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। প্রায় শতাধিক মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক ভাবে নদীর উভয় পাড়ে সঠিক ভাবে বাঁধ নির্মাণ না করার কারণে প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলে বন্যার পানিতে নদীর পাড় ভেঙ্গে সদর বাজার ও উপরোক্ত গ্রামগুলি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে করে চাষাবাদী জমিতে নদীর বালুমাটি পড়ে চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং বাজারের দোকানের মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। একই সাথে নদী ভাঙ্গা বন্যার পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ, উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, পোষ্ট অফিসসহ অন্যান্য সরকারী দপ্তরগুলিতে পানি প্রবেশ করে।
সংবাদ পেয়ে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলী বেগম এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান