টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকার বাইমহাটি গ্রামে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজের সময় তিতাস গ্যাসের একটি প্রধান পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, পুরো এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে পাইলিংয়ের সময় খননযন্ত্রের আঘাতে পাইপটি ফেটে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তবে দুই দিন পার হলেও রবিবার দুপুর পর্যন্ত মেরামত কাজ শেষ হয়নি। ফলে সোহাগপুর থেকে নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজারেরও বেশি আবাসিক গ্রাহক এবং একাধিক শিল্পকারখানা ও হাসপাতাল চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
বিশেষ করে কুমুদিনী হাসপাতালের গ্যাস-নির্ভর বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক বলেন, “প্রায় ৫ হাজার রোগী ও স্টাফকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রান্না, পানি গরম এবং অন্যান্য জরুরি সেবায় সমস্যা হচ্ছে।”
তিতাস গ্যাসের টাঙ্গাইল অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, পাইপটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভূমির প্রায় ৩০ ফুট নিচে অবস্থিত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি না জানিয়ে কাজ শুরু করায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিতাস গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকার ব্যবস্থাপক কাউছারুল ইসলাম বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা হয়নি।
গণপূর্ত বিভাগের টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সম্ভু রাম পাল জানান, তারা জানতেন না যে নির্মাণস্থলের নিচে গ্যাস পাইপ রয়েছে। বিষয়টি জানা থাকলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন।
এ ঘটনার কারণে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের অন্তত ১০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা দ্রুত গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
রংপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদনের দায়ে ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
গঙ্গাচড়া যুব ফোরাম ও শিশু ফোরামের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী উপহার
সমাজ উন্নয়নে স্কাউটদের ভূমিকা শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত