মোস্তফা কামাল নান্নু, টাঙ্গাইল
একসময় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিয়ে ফেরি ও ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় হাটুভাঙ্গা এলাকার বংশাই নদী পার হতে হতো। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বংশাই নদীর ওই স্থানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার এ সেতুটির নির্মাণ কাজ পায় ঢাকার মনিকো এন্টারপ্রাইজ। বাংলাদেশ ও জার্মান সরকারের যৌথ উদ্যোগে এলজিইডির তত্ত্ববাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি ২০০১ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে।
সেতুটি নির্মানের পর থেকেই চলছে ইজারা দিয়ে চলছে টোল আদায়।২০০১ সাল থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছর পর্যন্ত সরকার সেতুটি ইজারা দিয়ে ৯ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
এলাকাবাসী বলেন, নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে বেশি অর্থ আদায় হলেও বন্ধ হচ্ছে না এই টোল আদায়। এতে যানবাহন খরচ বাড়ায়, বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যমূল্য ও কাঁচা শাক সবজির দাম। টোল আদায় বন্ধের দাবী জানান তারা।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা, সখিপুর ও ঘাটাইল উপজেলা হয়ে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনার জেলার কয়েক লাখ মানুষ এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয়।
শ্রেণি ভেদে প্রতি পাড় ট্রেইলার ১২৫ টাকা, হেভী ট্রাক ১০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫০ টাকা, বড় বাস ৪৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত যান প্রতি পাড় ৩০ টাকা, মিনি বাস ২৫ টাকা, মাইক্রো/ফোর হুইল চালিত যান ২০ টাকা, সিডান কার ১৫ টাকা ও ৩ চাকার যান/মোটরসাইকেল ৫ টাকা করে টোল আদায় করছেন।
ইজারাদার কবির সিকদার বলেন, সকল নিয়ম মেনেই সেতুটিতে টোল আদায় করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টোল বন্ধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে খুব শীঘ্রই চিঠি প্রেরণ করা হবে ।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আরও পড়ুন
প্রতারক টিপুর ফাঁদে নিঃস্ব নওয়াপাড়ার অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী
পীরগঞ্জে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলায় প্রধান অতিথি তাকিয়া জাহান
খুলনা বিভাগের ৩২ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা