অনলাইন ডেস্ক :
অল্পের জন্য ওভারে ছয় ছক্কা মারতে পারলেন না উইল জ্যাকস। পরে থমকে গেলেন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে। তবে লরি ইভান্সের সঙ্গে বিস্ফোরক জুটিতে তিনি সারেকে এনে দিলেন বিশাল সংগ্রহ। কিন্তু আড়াইশ ছাড়ানো রানকেও তেমন বড় মনে হতে দিলেন না স্টিভেন এসকিনাজি, ম্যাক্স হোল্ডেন, রায়ান হিগিংসরা। ব্যাটিং তান্ডবে তারা মিডলসেক্সকে এনে দিলেন রেকর্ড গড়া জয়। ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে বৃহস্পতিবার ৭ উইকেটের এই জয় পেয়েছে মিডলসেক্স। ওভালে বৃহস্পতিবার সারের ২৫২ রান তারা টপকে গেছে ৪ বল বাকি থাকতে। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এটাই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি। ইংল্যান্ডের এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে রান তাড়ায় আগের রেকর্ড মিডলসেক্সেরই ছিল। ২০১৯ সালে তারা সমারসেটের বিপক্ষে জিতেছিল ২২৬ রান তাড়ায়। এই জয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল মিডলসেক্স।
টুর্নামেন্টের গত আসর ও চলতি আসর মিলিয়ে টানা ১৪টি ম্যাচ হেরেছিল তারা। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে টানা এত ম্যাচ হারের আর কোনো নজির নেই। অবশেষে রেকর্ড গড়ে জয়ের স্বাদ পেল দলটি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই ২৫২ এর চেয়ে বেশি রান টপকে জয়ের রেকর্ড আছে আর স্রেফ একটি। গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মিডলসেক্স ও সারের ম্যাচে এই দুই ইনিংস মিলিয়ে উঠেছে ৫০৬ রান। এই সংস্করণে এর চেয়ে বেশি রান হয়েছে আর দুটি ম্যাচে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে মোট সংগ্রহ ছিল রেকর্ড ৫১৭ রান। ওই ম্যাচের সপ্তাহ দুয়েক আগে পাকিস্তান সুপার লিগে মুলতান সুলতান্স (২৬২) ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স (২৫৩) মিলে করে ৫১৫ রান। মিডলসেক্সের রেকর্ড গড়া জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এসকিনাজি। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় জো ক্রেকনেলের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান আসে স্রেফ ৩৯ বলে। ক্রেকনেল ১৬ বলে ৩৬ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন। দলকে দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে আউট হওয়া এসকিনাজির ব্যাট থেকে আসে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৩ রান। পরে স্রেফ ৪৭ বলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন হোল্ডেন ও হিগিংস। ৯ চার ও ২ ছক্কায় হোল্ডেন করেন ৩৫ বলে ৬৮ রান। ৬ চার ও ২ ছক্কায় হিগিংসের সংগ্রহ ২৪ বলে ৪৮। বল হাতেও ২ উইকেট নেন হিগিংস। ম্যাচের প্রথম ভাগে মিডলসেক্সের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করেন সারের দুই ওপেনার জ্যাকস ও ইভান্স। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৭৬ বলে ১৭৭ রান যোগ করেন দুই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
লুক হলম্যানের করা একাদশ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মারেন জ্যাকস। শেষ বলে আর পারেননি। সিঙ্গেলসহ ওই ওভার থেকে মোট ৩১ রান পায় সারে। পরে সেঞ্চুরির দুয়ারে পৌঁছেও ছুঁতে পারেননি জ্যাকস। ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৫ বলে ৯৫ রান করে ২৪ বছর বয়সী ওপেনার আউট হন মার্টিন অ্যান্ডারসনের বলে। তার সঙ্গী ইভান্স খেলেন ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৭ রান আসে কেবল ১২.৪ ওভারে। পরের সময়টায় কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও দলের রান পেরিয়ে যায় আড়াইশ। কে জানত, রানের এই পাহাড়ও যথেষ্ট হবে না জয়ের জন্য!
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?