মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ও নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ইউরো, পাউন্ড, ইয়েন ও সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ডলার পৌঁছেছে বহু বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেডারেল রিজার্ভের (মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক) স্বাধীনতায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপমূলক মনোভাব এবং ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে ইউরোর বিপরীতে ডলারের মান নেমে এসেছে ১ দশমিক ১৬৮৭-তে, যা ২০২১ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বনিম্ন। এদিন পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের দাম কমে ১ দশমিক ৩৬৯০ হয়েছে, যা ২০২২ সালের জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন।
এছাড়া সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ডলার ২০১১ সালের পর সর্বনিম্ন ০.৮০৩৩ এবং ইয়েনের বিপরীতে ০.২ শতাংশ কমে ১৪৪ দশমিক ৮৯-এ দাঁড়িয়েছে। ডলার সূচক নেমে এসেছে ৯৭ দশমিক ৪৯১-এ, যা ২০২২ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন।
ফেডের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী সেপ্টেম্বরে ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের উত্তরসূরি ঘোষণা করার চিন্তা করছেন। যদিও পাওয়েলের মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত, তবুও ট্রাম্পের এমন ভাবনা মার্কেটকে চরম অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে।
ইনটাচ ক্যাপিটাল মার্কেটসের কিয়েরান উইলিয়ামস বলেন, ফেড চেয়ার পরিবর্তন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে সেটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করবে এবং ডলারের মূল্যায়নে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, আগামী ৯ জুলাই ট্রাম্প ঘোষিত বাণিজ্যচুক্তির সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় শুল্কনীতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এই শুল্কনীতির কারণে বিনিয়োগব্যাংক জেপি মর্গান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
জেপি মর্গান এক বিবৃতিতে জানায়, শুল্কের প্রভাব অর্থনীতিকে মন্থর করবে, মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যতিক্রমী অবস্থান’-এর সমাপ্তি ঘটাবে।
আরও পড়ুন
চোখ ধাঁধানো লুকে কিয়ারা
ইসরায়েলি হামলায় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত
এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট বিক্রি কমেছে ৩৫%,ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা